সোমবার থেকে চলো হলদিয়া এক্সাইড ক্লোরাইড মেটাল কারখানায় শ্রমিকদের আন্দোলন উঠল বৃহস্পতিবার।দফায় দফায় আলোচনার সমাধান সূত্র না পৌঁছানো পর্যন্ত
আন্দোলন চলতেই থাকে। কারখানার প্রোডাকশন বন্ধের মুখে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমাধান …
সোমবার থেকে চলো হলদিয়া এক্সাইড ক্লোরাইড মেটাল কারখানায় শ্রমিকদের আন্দোলন উঠল বৃহস্পতিবার।দফায় দফায় আলোচনার সমাধান সূত্র না পৌঁছানো পর্যন্ত
আন্দোলন চলতেই থাকে। কারখানার প্রোডাকশন বন্ধের মুখে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমাধান সূত্র পৌঁছালো হলদিয়ার বেসরকারি ব্যাটারি কারখানায় শ্রমিকরা। এদিন রাতের শিফ্ট থেকেই কাজে যোগ দেয় বিক্ষোভরত শ্রমিকরা আশ্বাস। বিক্ষোভের জেরে ওই কারখানার ব্যাটারি চার্জিং ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সোমবার রাত থেকে। কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জয়েনিং লেটার, কাজের ভিত্তিতে গ্রেডেশান সিস্টেম চালু করা, নতুন বেতন চুক্তির আশ্বাস মেলার পরই এদিন সন্ধ্যায় শ্রমিকদের অবস্থান বিক্ষোভ ওঠে। আইএনটিটিইউসির কোর কমিটির মধ্যস্থতায় ওই বিক্ষোভ উঠেছে বলে দাবি কোর কমিটির অন্যতম সদস্য শ্যামল মাইতির। শ্যামলবাবু বলেন, আগামী ১৫দিনের মধ্যে ঠিকা শ্রমিকদের জয়েনিং লেটার দেবে কর্তৃপক্ষ। দু'মাসের মধ্য দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের গ্রেডেশান করে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর শ্রমিকদের পক্ষ থেকে নতুন বেতন চুক্তির জন্য
দাবিসনদ কারখানা কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নতুন কারখানা হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত মিটে যাবে। প্রসঙ্গত, সোমবার রাত থেকে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। কারখানার একটি অংশে উৎপাদনেও প্রভাব পড়ে বিক্ষোভের। সোমবার রাত থেকে মূলত কারখানার মধ্যে বিক্ষোভের সূত্রপাত। মূলত ব্যাটারি চার্জিংয়ের ইউনিটে বিক্ষোভ তৈরি হয় এবং পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাত থেকেই ব্যাটারি চার্জিং ইউনিটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই ইউনিটের শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা দক্ষ শ্রমিক হলেও অদক্ষদের মতো মজুরি পান অর্থাৎ কম বেতন দেওয়া হয়। অথচ তাদের সঙ্গে কথা না বলে ব্যাটারি চার্জিংয়ের টার্গেট দ্বিগুণ করা হয়েছে। আরও
অভিযোগ, ঠিকাদার শ্রমিকদের পিএফ, ইএসআইয়ের টাকা জমা দিচ্ছে না। ওই কারখানায় বেতনচুক্তি বা সিওডি স্বাক্ষরিত হয়নি। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল।




No comments