বংটাইমস নিউজ;- বুধবার দিঘার গভীর সমূদ্রে মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়ল বিশালাকায় হাঙর, দর উঠল দেড় লক্ষ টাকা । যা দেখতে রীতিমত ভীড় জমে গেল দিঘা মোহনার মাছের পাইকারী বাজারে। সাধারন মানুষ তো বটেই খবর পেয়ে বাজারে ভিড় জমালেন পর্যটকরাও। সম…
বংটাইমস নিউজ;- বুধবার দিঘার গভীর সমূদ্রে মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়ল বিশালাকায় হাঙর, দর উঠল দেড় লক্ষ টাকা । যা দেখতে রীতিমত ভীড় জমে গেল দিঘা মোহনার মাছের পাইকারী বাজারে। সাধারন মানুষ তো বটেই খবর পেয়ে বাজারে ভিড় জমালেন পর্যটকরাও। সমুদ্র আর ঝড়ো বাতাস ছাড়া এও এক উপরি পাওনা পর্যটকদের কাছে। খুশি মৎসজীবিরাও।উদ্ধার হওয়া মাছটির ওজন প্রায় ৪ কুইন্টাল এবং ১২ফুট লম্বা বলে দাবী মৎস্যজীবিদের। সূত্রের খবর, গভীর সমূদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া "মহালয়া" নামের একটি ট্রলারে এই মাছটি আটকা পড়ে।রীতিমত নেয়ে ঘেমে হাঙরটিকে বাজারে আনতে হয় মৎসজীবিদের।গত জুলাই মাসেও এরকমই একটি 'ডগ শার্ক' প্রজাতির হাঙর ধরা পড়েছিল। পরিবেশবিদদের বক্তব্য এই ভাবে হাঙর ধরা পড়তে থাকলে বিপন্ন হবে সমুদ্রের জীবন শৃংখলা।পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন হাঙর মাছের মত লাখে লাখে ডিম পাড়েনা । ১০ থেকে ১২ বছরে হাঙর পরিপক্ব হয় এবং দুই থেকে ১৬টি বাচ্চা দেয়। এ কারণে হাঙরের সংখ্যা দ্রুত বাড়ে না। কিন্তু দিঘা উপকূলে মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে হাঙর বিলুপ্ত হচ্ছে। যা পরিবেশ প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।সামুদ্রিক জীব গবেষক অনিল কুমার মহাপাত্র বলেন," গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মাছ ধরার হাজারো ফাঁস জালে আটকা পড়ে ডিম পাড়তে আসা মা কচ্ছপের মৃত্যু যেমন হচ্ছে, তেমনি ২০০ গ্রাম থেকে তিন মণ ওজনের অসংখ্য হাঙরও ধরা পড়ছে।ইলিশের মতো আইন করে হাঙর নিধন বন্ধ করাও জরুরি।''দিঘা ফিশারমেন এন্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন,"দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে চালানের জন্য হাঙর শিকার করা হলেও দিঘা উপকূলে সে সব হয় না। অন্য মাছ ধরতে গিয়ে মাঝেমধ্যে জালে ওঠে হাঙর।"


No comments