বংটাইমস নিউজ;- দশ দিন পরই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দে মাতবে শিল্প শহর হলদিয়া। কারখানার গেটে গেটে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি থিমের মণ্ডপ। তখনই বিষাদের ছায়া হলদিয়ার মর্ডান ইন্ডিয়া কন-কাস্ট কারখানায়।…
বংটাইমস নিউজ;- দশ দিন পরই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দে মাতবে শিল্প শহর হলদিয়া। কারখানার গেটে গেটে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি থিমের মণ্ডপ। তখনই বিষাদের ছায়া হলদিয়ার মর্ডান ইন্ডিয়া কন-কাস্ট কারখানায়। বন্ধ হল ফেরো অ্যালয় উৎপাদনকারি কারখানাটি বন্ধ হল চিরতরে। ১০০শতাংশ রপ্তানিভিত্তিক কারখানাটি ২০১৪সালেই নতুন করে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। হঠাৎ সেই কারখানার গেট শুক্রবার থেকে চিরতরে বন্ধ হল শ্রমিকদের কাছে। কারখানার ৩৭৫জন শ্রমিককে দুমাসের বেতন,
পিএফ, গ্র্যাচুয়িটি এবং বোনাস সহ যাবতীয় বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে। বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ, তাই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। ফলে কয়েকমাস আগেই উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য
হয় মর্ডান। কেন এই পরিস্থিতি? মর্ডান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের বিদ্যুতের দাম অত্যধিক চড়া। ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম ৮টাকা। এর ফলে বিদ্যুৎ নির্ভর এই শিল্পে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে বা প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। আয় কমায় বিদ্যুৎ এর বিল মেটানো সম্ভব হয় নি। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ দপ্তর কোনও সহায়ত করেনি বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কয়েক বছর আগে একইভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মর্ডানের পাশের রোহিত ফেরোটেক ফেরো অ্যালয় কারখানা। সেই
কারখানার একটি ইটও আজ অবশিষ্ট নেই। কারখানায় বেতন না পেয়ে, কাজ না থাকায় শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছিল। সপ্তাহখানেক আগেই কারখানার গেট শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে। বুধবার শ্রমদপ্তর কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে। হলদিয়ার ডেপুটি লেবার কমিশনার মিহির সরকার বলেন, ৩৭৫জন শ্রমিককে আপাতত ছাঁটাই করা হচ্ছে। এদের ছাঁটাই বেনিফিট দেওয়া নিয়েই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ দু'মাসের বকেয়া বেতন, ১৫হাজার টাকা করে ছাঁটাই বেনিফিট এবং বোনাস দেবে। ঠিকাদার মালিক সব মিলিয়ে ১০লক্ষ টাকা দিচ্ছে শ্রমিকদের ছাঁটাই বেনিফিট হিসাবে। এছাড়া পিএফ ও গ্র্যাচুয়িটির টাকা দেওয়া হবে। প্রায় ৪০একর জমির ওপর এই কারখানাটি গড়ে উঠেছিল ২০০৮সাল নাগাদ। মর্ডানের হাল রেহিতের মতো হয় কি না, বা নতুন করে কারখানাটি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে কি না, সময়ই বলবে সে কথা।





No comments