বংটাইমস নিউজ;- হলদিয়ায় ঈষদ নোনা জলে এখন অন্যতম চিংড়ি ভেনামী চিংড়ী । আর এই ভেনামী চিংড়ীর একক চাষ হয়ে বানিজ্যিক ভাবে রপ্তানী হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। কিছু বছর আগে ঠিক এই ভেনামী চিংড়ির জায়গায় ছিল বাগদা চিংড়ি। কিন্তু ভেনামী সেই জায়গা দখল ক…
বংটাইমস নিউজ;- হলদিয়ায় ঈষদ নোনা জলে এখন অন্যতম চিংড়ি ভেনামী চিংড়ী । আর এই ভেনামী চিংড়ীর একক চাষ হয়ে বানিজ্যিক ভাবে রপ্তানী হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। কিছু বছর আগে ঠিক এই ভেনামী চিংড়ির জায়গায় ছিল বাগদা চিংড়ি। কিন্তু ভেনামী সেই জায়গা দখল করে নেওয়ায় এখন আবার বাগদা চিংড়ি এই সব ব্যাবসা ভিত্তিক মাছ চাষের ক্ষেত্রে মিশ্র চাষের মাধ্যমে চাষকে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগী মৎস্য দপ্তর। সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, অনেক চাষি ইদানিং বাগদা চাষে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে। আর তাই, মৎস্য দপ্তর , পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন ভাবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উদ্যোগী হয়েছে এই বাগদা চিংড়ির চাষে, তবে একক নয় মিশ্র পদ্ধতিতে; বাগদার সাথে পার্শে মাছের চাষ।
পার্শে অত্যন্ত সুস্বাদু একটি মাছ, যার বাজারে ভালোই কদর রয়েছে। হাল্কা নোনা জলের পুকুরে দিব্যি চাষ করা যায়। তাছাড়া বাগদা চিংড়ির এই মিশ্র চাষে রোগ সংক্রমনের ভয় তেমন থাকেনা । জানান হলদিয়া ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। তাই, বাগদা চিংড়ির সাথে পারশে মাছের চাষে উৎসাহ দিতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকে ৩০জন মাছ মাছ চাষিদের প্রত্যেককে পঁচিশ হাজার ( ২৫০০০) বাগদা চিংড়ি ও সাড়ে সাত হাজার (৭৫০০) টি পার্শে মাছের চারাপোনা বিনামূল্যে দেওয়া হল। হলদিয়া ব্লক মৎস্য দপ্তরে চারা বিতরন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সহ মৎস্য অধিকর্তা ( নোনাজল) সুরজিত কুমার বাগ, বিডিও তুলিকা দত্ত ব্যানার্জী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত কুমার হাজরা , মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাঝি ও হলদিয়ার মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু সহ অন্যন্যরা।
মাছ চিংড়ির খাবারও দেওয়া হবে প্রত্যেক চাষি কে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকেই ৩০ জন মাছ চাষিকে স্বনাক্তকরন করে এই বাগদা চিংড়ির মিশ্র চাষে উৎসাহীত করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও চন্ডীপুর, ময়না, সুতাহাটা, মহিষাদলেও ১৫ জন করে মাছ চাষিদের এইভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে হলদিয়ায় বেশী সংখ্যক মাছ চাষিকে স্বনাক্তকরন করে এই প্রকল্প রূপায়ন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে বাগদা চিংড়ির সহজ লভ্যের জন্য মাছ চাষিদের বাগদা চিংড়ির মিশ্র চাষে উৎসাহীত করছে রাজ্য মৎস্য দপ্তর , বলে জানান পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী । বাগদা চিংড়ি ও পার্শে মাছের প্রকল্প পাওয়ায় খুশি হলদিয়ার মাছ চাষিরা।
বাগদার সাথে পারশে মাছের চাষে উৎসাহ দেখিয়ে এগিয়ে এসেছেন হলদিয়ার বেশ কিছু ভেনামী চিংড়ি চাষি যেমন, অনুকুল দাস , মানস বসু, রনজিৎ ভৌমিক, মদন জানা, তুষার জানা প্রমুখরা । আবার সাধারন হাল্কা নোনাজলের পুকুরে বেশ পূরোনো অভিজ্ঞ চাষি রামপদ হাজরা জানান, তিনি মিশ্রভাবেই বহুদিন ধরেই বাগদার সাথে পারশে মাছের চাষ করে আসছেন, এতে মাছের ভালোই ফলন পান রোগ তেমন হয়না। তবে মৎস্য দপ্তরের এই সাহায্য পেয়ে বেশ খুশি। সম্প্রতি ভেনামী চাষে মন্দা খাওয়া চাষি কৌশিক বোয়াল এখন বিভিন্ন ধরনের মিশ্রচাষে আগ্রহী হয়েছেন, তিনি এই বাগদার মিশ্র চাষে নতুন ভাবে চাষে উদ্যোম খুঁজে পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে মৎস্য দপ্তরের এই উদ্যোগে অন্যন্য মাছ চাষিরাও বেশ আগ্রহী হচ্ছেন, আগামীতে বাজারে এই সব চিংড়ি ও মাছ সহজলভ্য হবে তা নিশ্চিত বলাই যায়। সহ মৎস্য অধিকর্তা (নোনাজল) সুরজিত কুমার বাগ নিজেই হলদিয়ায় উপস্থিত থেকে প্রাপক মাছ চাষিদের সঙ্গে চাষের বিষয়ে মত বিনিময় করেন। জল মাটি পরীক্ষা সহ যাবতীয় পরামর্শের জন্য ব্লকে মৎস্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখার কথা বলেন হলদিয়ার মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
No comments