নিজস্ব প্রতিবেদন:- স্বামী বাড়িতে না থাকায় গৃহবধূ ও তাঁর পাঁচ বছরের শিশুকে ফুঁসলিয়ে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী যুবক। সুযোগ বুঝে বাইক থেকে নামিয়ে ওই শিশুর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে।…
নিজস্ব প্রতিবেদন:- স্বামী বাড়িতে না থাকায় গৃহবধূ ও তাঁর পাঁচ বছরের শিশুকে ফুঁসলিয়ে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী যুবক। সুযোগ বুঝে বাইক থেকে নামিয়ে ওই শিশুর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গৃহবধূও। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের শৌলা সুমদ্রেরপুরে। আক্রান্ত গৃহবধূ শিবানী মাইতির স্বামী চন্দন রঙের কাজ করেন। সেই সূত্রে বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। শিবানীর বাড়ি অলবনি এলাকায়।
অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক প্রলোভন দেখিয়ে শিবানী ও তাঁর সন্তানকে বাইকে করে নিয়ে যায় সমুদ্রের ধারে। একটি ফাঁকা জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে শিশু এবং তার মাকে নামিয়ে দেয়। আচমকাই ধারালো অস্ত্র বার করে শিশুর গলায় চালিয়ে দেয় সে। বাধা দিতে যান শিবানী। তাঁর সঙ্গে যুবকের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর গৃহবধূকে গলা টিপে একটি নয়ানজুলি জলে চুবিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে যান। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। স্থানীয়রা শিশু এবং তার মাকে উদ্ধার করে কাঁথি হাসপাতলে নিয়ে যান। শিশুকে দেখে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন শিবানী। জুনপুট কোস্টাল থানার পুলিশ এবং কাঁথি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি।


No comments