Page Nav

HIDE

Business News

GRID_STYLE

Grid Blog

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Classic Header

Breaking News:

latest

স্বাধীনতা সংগ্রামি সুশীল কুমার ধাড়া সপ্নের মাতৃভবন এখন পিকনিক রিসর্ট।

বিশিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল কুমার ধাড়ার স্বপ্নের প্রকল্প " গোপাল স্মৃতি মাতৃভবন " এর ভোল পাল্টানো কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।তার স্মৃতি বিজাড়িত সমস্ত কিছুই আজ বিলুপ্ত।সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে আধুনিক রিসর্ট থেকে…


বিশিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল কুমার ধাড়ার স্বপ্নের প্রকল্প " গোপাল স্মৃতি মাতৃভবন " এর ভোল পাল্টানো কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।তার স্মৃতি বিজাড়িত সমস্ত কিছুই আজ বিলুপ্ত।সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে আধুনিক রিসর্ট থেকে মনোরম পার্ক। স্থানীয় বাসিন্দারা   সুশীল ধাড়ার সাধের প্রকল্পের স্মৃতি কে বাঁচিয়ে রাখতে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

     দেশকে স্বাধীন করতে অনেক বীর সন্তানের জন্ম দিয়েছে অবিভক্ত মেদিনীপুর। তাদের মধ্যে একজন সুশীল কুমার ধাড়া, ভারত ছাড়ো আন্দোলের সময় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন ইনি। স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশ স্বাধীন হলে তার জন্মস্থান মহিষাদলের খাদি এলাকায় মহিলাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বানাবেন। তার স্বপ্ন পূরন হয়  ১৯৫৬ সালে। বাগদা,তাজপুর,খাদি, রাজরামপুর, মলুবসানের কিছু সহৃদয় ব্যক্তির জায়গা দান ও কিছু জায়গা কিনে ৫ বিঘা জমি  র উপর  তৈরি হয় এই গোপাল স্মৃতি মাতৃভবন। তৎকালিন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেন এর উদ্বোধন করেন।এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয় মূলত মহিলাদের সন্তান প্রসব করার উদ্দ্যেশে।সেই সময় গোপাল স্মৃতি মাতৃভবন সমিতি নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়।রেজুলেশান করা হয় এই সমিতির সভাপতি হবে মহিলা এবং সম্পাদক হবে ছেলে।সুশীল ধাড়া টানা ৪০ বছর এই সমিতির সম্পাদক ছিলেন।তাছাড়া এর একটি উইল করা হয় যদি কোনো দিন এটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে যারা জমি দান করেছে তাদের বংশধরদের এই জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।পরবর্তি কালে এখানে অঙ্গনওয়াড়ি ট্রেনিং সেন্টার, শিশু কল্যান বিভাগ,উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হলেও ১৯৯৫ সালে আর্থিক অনটনের জন্য সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়।বর্তমানে এই সমিতির সম্পাদক তাপশ মল্লিক ও সভাপতি বিন্দুরানী বয়াল।বর্তমান কমিটির একাংশ জমিটি একটি ব্যাক্তিকে লিজে দিয়ে দেয়। সেখানে সুশীল ধাড়ার স্বপ্নের প্রকল্পের সমস্ত স্মৃতিচিহ্ন নষ্ট করে  ব্যবসায়িক মনোবৃত্তিতে তৈরি হচ্ছে আধুনিক রিসর্ট ও মনোরম পার্ক। যা নিয়ে এলাকা বাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।তারা চাইছেন সুশীল ধাড়ার স্মৃতিচিহ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে। এর জন্য  এলাকাবাসী সমস্ত জেলা প্রশাসন সহ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছে।কিন্তু কিছুই হচ্ছেনা।
বিশিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়ার সহকর্মী  চিত্তরঞ্জন সামন্ত বলেছেন এটা খুবই দুঃখ জনক ঘটনা,তার আর সেই বয়স নেই যে এটা নিয়ে আন্দোলন করবেন।

বর্তমান সম্পাদকের কথায় বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়ায় কিছু টাকা ধার হয়ে গেছে, তাই লিজ দিতে বাধ্য হয়েছে।
মহিষাদলের বিডিও আশ্বস্ত করেছেন তিনি প্রশাসনিক ভাবে চেষ্টা করবেন সুশীল ধাড়ার স্বপ্নের প্রকল্পকে বাঁচিয়ে রাখার।

No comments