পরিকাঠামো দেখে হলদিয়ার গ্লোবাল পলিটেকনিকের ভূয়সী প্রশংসা স্ট্যান্ডিং কমিটির
হলদিয়ার গ্লোবাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি পলিটেকনিক কলেজের পরিকাঠামো ও পঠনপাঠন খতিয়ে দেখে প্রশংসা করেছে রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডি…
পরিকাঠামো দেখে হলদিয়ার গ্লোবাল পলিটেকনিকের ভূয়সী প্রশংসা স্ট্যান্ডিং কমিটির
হলদিয়ার গ্লোবাল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি পলিটেকনিক কলেজের পরিকাঠামো ও পঠনপাঠন খতিয়ে দেখে প্রশংসা করেছে রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। এদিন বিধানসভার তথ্যপ্রযুক্তি এবং কারিগরী শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল হলদিয়ার ওই বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজ পরিদর্শন করেন। ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পাল এবং বিজেপির
বিধায়ক দুর্গাপদ মুর্মু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারিগরী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর শঙ্খ মল্লিক, অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর আলমগীর হোসেন সহ জেলা ও রাজ্যের অন্যান্য আধিকারিক এবং আইকেয়ারের সম্পাদক আশিস লাহিড়ি সহ অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা। স্ট্যান্ডিং কমিটিকে কলেজ বিষয়ক ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশান দেন প্রিন্সিপাল বিক্রমজিৎ চৌধুরি। তিনি বলেন, এই কলেজটি হলদিয়ার আইকেয়ার শিক্ষা সংস্থার অধীনে একটি কলেজ। সদ্য ২০ বছরে পা দিয়েছে বেসরকারি এই কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পঠনপাঠন এবং আধুনিক ল্যাব ফেসিলিটি ও ওয়ার্কশপের জন্য ভিন রাজ্য থেকেও এখানে পড়ুয়ারা আসছে। রাজ্যে ১৬৭টি পলিটেকনিক কলেজের মধ্যে দু'টি কলেজ সার্বিক ভাল গুণমানের জন্য ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশন(এনবিএ) স্বীকৃত। হলদিয়ার গ্লোবাল
পলিটেকনিক কলেজ তাদের মধ্যে অন্যতম। কলেজের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১৯০০। পড়াশোনার পর কলেজ ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ পায় প্রায় ৮০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। শুধু রাজ্যে নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নামী সংস্থায় গ্লোবাল পলিটেকনিকের ছাত্রছাত্রীরা চাকরি করছেন। এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরা মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল সহ বিভিন্ন বিভাগের ৮-১০টি ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখেন। তাঁরা মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে অত্যাধুনিক কম্পিউটার
নিউম্যারিক্যাল কন্ট্রোল(সিএনসি) মেশিন দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এধরনের পরিকাঠামো জেলার কোনও পলিটেকনিক কলেজে নেই বলে স্বীকার করেছে স্ট্যান্ডিং কমিটি। কমিটির নেত্রী বিধায়ক প্রিয়া পাল বলেন, গ্লোবাল পলিটেকনিক কলেজের শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিকাঠামো খুবই ভাল। জেলার অন্যান্য কলেজেও ঘুরেছি। কিছু সমস্যার কথা উঠেছে। এবিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হবে। কলেজের ভাইস চেয়ারম্যান স্পর্শিতা পণ্ডাশেঠ বলেন, বেসরকারি পলিটেকনিকগুলিতে ২০০৯ সালের পর আর ফি কাঠামো পরিবর্তন করা হয়নি। এর পুনর্মূল্যায়ণের দাবি করছি আমরা। স্ট্যান্ডিং কমিটি এবিষয়ে বিধানসভায় রিপোর্ট দেবেন আশা করি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে হলদিয়ার গ্লোবাল পলিটেকনিকেই একমাত্র তিন বছরের ফায়ার টেকনোলজি এন্ড সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পড়ানো হয়।





No comments