হলদিয়া: রবিবার পঞ্চমীর বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টির ধারাপাতে তাল কাটল শিল্পশহরের পুজোর। ঘণ্টাদেড়েকের বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে পুজো কমিটিগুলি। পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে রাস্তায় সমস্যায় পড়েন মানুষজন। সন্ধে পর্যন্ত টানা বৃষ্ট…
হলদিয়া: রবিবার পঞ্চমীর বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টির ধারাপাতে তাল কাটল শিল্পশহরের পুজোর। ঘণ্টাদেড়েকের বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে পুজো কমিটিগুলি। পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে রাস্তায় সমস্যায় পড়েন মানুষজন। সন্ধে পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলায় মন ভেঙে যায় দর্শনার্থীদের। এদিন বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শিল্পশহর ও লাগোয়া সুতাহাটা এলাকার একাধিক পুজোর উদ্বোধন পণ্ড হয়। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একমাত্র দুর্গাচক ক্ষুদিরাম স্মৃতিসঙ্ঘে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেজন্য সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জন্য কোনও রকম নমোনমো করে সারতে হয় উদ্বোধন। পুজোর উদ্যোক্তা তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বপন নস্কর বলেন, পুজোয় কয়েকশো মানুষকে নতুন জামা কাপড় দেওয়া হবে। এদিকে কোভিডের কারণে থিমের মণ্ডপগুলি এবার খোলা হওয়ার কারণে বৃষ্টিতে সব ভিজে একাকার হয়ে যায়।
শিল্পাঞ্চলে এবার পুজোর আগে কারখানাগুলিতে বোনাস বাড়ায় খুশি শ্রমিকরা। তবে কয়েকটি ভোজ্যতেল কারখানা সময়মতো বোনাস না দেওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। আইএনটিটিইউসির তমলুক জেলার সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, পুজোর আগে আইএনটিটিইউসির দাবি মতো কয়েকটি কারখানায় দীর্ঘদিন পর বোনাস বেড়েছে। হলদিয়ার বিএমএস নেতা বলেন, শিল্পাঞ্চলে করোনা ও নানাবিধ কারণে কাজ কমে গিয়েছে। সামান্য বোনাসে তেমন কিছু হবে না। ফলে এবার হলদিয়া জুড়ে কোনও দোকানপাটেই কেনাকাটার ভিড় নেই পুজোতে। শ্রমিক কর্মচারীরা জানান, করোনার কারণে কারখানায় কাজের পরিমাণ কমে গিয়েছে ফলে তাঁরা মজুরিও কম পাচ্ছেন। এদিকে, সব্জি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারদর আগুন হওয়ায় বেতনের সামান্য টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পুজোর জামাকাপড় কেনা তাঁদের কাছে বাহুল্য।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের আবাসনের পুজোগুলি এবার করোনার কারণে জৌলুস হারিয়েছে। আইওসি বা বন্দর আবাসনের পুজোয় মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সব ছোট আকারের। কয়েকটি শিল্প সংস্থার পুজো আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে দুর্গাচক এলাকার হাতেগোণা কয়েকটি ক্লাবের থিমের পুজো ছাড়া তেমন বড় পুজো হচ্ছে না হলদিয়ায়। হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগর উদ্বাস্তু কলোনিতে দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে বড় আকারে পুজো হচ্ছে। বরং সুতাহাটার চৈতন্যপুরে কয়েকটি থিমের মণ্ডপে বৃষ্টি থামতেই পঞ্চমীর সন্ধে থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। দুর্গাচকের কুমারচন্দ্র জানা অডিটরিয়ামে বাবাজিবাসা অগ্রগামী সংঘ, আইওসি ও সিআইএসএফ সহ কয়েকটি শিল্প সংস্থার যৌথ উদ্যোগে জেলার ১২টি হোমের প্রায় ৬০০জন শিশু কিশোর ও বয়স্কদের নতুন জামাকাপড় তুলে দিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
No comments