নিজস্ব সংবাদ;- প্রায় ৮১কোটি টাকা ব্যয় করে পাঁচ একর জায়গায় উপর আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার । উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নিউ দিঘার উদয়পুরে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে থাকছে ১০০০ আসন বিশিষ্ট…
নিজস্ব সংবাদ;- প্রায় ৮১কোটি টাকা ব্যয় করে পাঁচ একর জায়গায় উপর আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার । উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নিউ দিঘার উদয়পুরে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে থাকছে ১০০০ আসন বিশিষ্ট বাতানুকূল অডিটোরিয়াম। দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল, গাড়ি পার্কিং, ভিআইপি লাউঞ্জ। কনভেনশন হলের সামনে সুইমিং পুল! ২০১৭ সালে ১১ ই জুন এই কনভেনশন সেন্টারের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু'বছরের মাথায় কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধনের ফলে দীঘার মান উন্নয়ন আরো বাড়ল।দীঘার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও ভালো করতে কলকাতা থেকে দিঘা ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু হবে।কলকাতা থেকে দীঘা হেলিকপ্টার সার্ভিস সপ্তাহে একদিন ছিল। এবার থেকে সপ্তাহে প্রত্যেকদিন হেলিকপ্টার পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।পাশাপাশি সি প্লেন নাম দিঘাতে এমনটাই আশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াতে নিউ দিঘার জগন্নাথ ঘাটের সামনে জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠবে। দীঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ার কারণে গাড়ি পার্কিং এর একটি সমস্যা দেখা দেয় প্রায়ই। তাই দিঘাতে একটি পার্কিং প্লাজা তৈরি হবে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পরিবহন ও সেচ, জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি, সাংসদ শিশির অধিকারী, সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আধিকারিকরা সহ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা।এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত ছিলেন জেলার সমস্ত বিধায়ক পৌরসভায় এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত এর জনপ্রতিনিধিরা।
দিঘাকে সুন্দর এবং দূষণমুক্ত করে রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করলেন। কড়া নির্দেশ দিলেন সমুদ্র লাগোয়া কোন রকম স্টল বসানো যাবে না। দীঘা কে সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। 2018 সালে মুখ্যমন্ত্রী দীঘা পড়ে এসে জগন্নাথ ঘাটে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির হবে এমনটাই বলে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার কনভেনশন সেন্টার
উদ্বোধন হওয়ার পরেই জগন্নাথ ঘাট পরিদর্শনে যান। সেখানে জগন্নাথ মন্দিরে ভেতরে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নতুন যে মন্দিরটি তৈরি হবে সেই মন্দির সহ এলাকার নকশা দেখান। ওখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী সৈকতাবাস এ চলে যান।





No comments