পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া বাসুকি নাগের জীবাশ্ম মিলল গুজরাতের কচ্ছে! আইআইটি রুরকির গবেষক দেবজিৎ দত্ত ও সুনীল বাজপেয়ির রিপোর্টে সেই রহস্য আরও জোরালো হয়েছে। ২০০৫ সালে কচ্ছের পানান্ধারো লিগনাইট খ…
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া বাসুকি নাগের জীবাশ্ম মিলল গুজরাতের কচ্ছে! আইআইটি রুরকির গবেষক দেবজিৎ দত্ত ও সুনীল বাজপেয়ির রিপোর্টে সেই রহস্য আরও জোরালো হয়েছে। ২০০৫ সালে কচ্ছের পানান্ধারো লিগনাইট খনিতে ‘বাসুকি’ সাপের জীবাশ্মটি খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। খনি থেকে সাপের ২৭টি মেরুদণ্ডের হাড়ের অংশ উদ্ধার হয়। এই জীবাশ্মের দৈর্ঘ্য থেকে অনুমান সাপটি অধুনা বিলুপ্ত টাইটানোবোয়া প্রজাতির। এটিই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রজাতির সাপ বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের। দৈর্ঘ্যের কারণে এই সাপের নড়াচড়ার ক্ষমতা খুবই শ্লথ ছিল। উদ্ধার হওয়া জীবাশ্মটি আনুমানিক ৪ কোটি ৭০ লক্ষ বছর আগের। সাপটি ৩৬ থেকে ৫০ ফিট লম্বা ছিল। যার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাসুকি ইন্ডিকাস।’ এর ওজন ছিল প্রায় এক টন বা এক হাজার কেজি। এই সাপটি ম্যাসস্টোয়িড স্নেক ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা এখন লুপ্ত হয়েছে পৃথিবী থেকে। তবে বৈজ্ঞানিক সত্যটি বেছে বেছে লোকসভা ভোট চলাকালীন কেন প্রকাশ্যে আনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। বাসুকী নাগ-ও কী শেষমেস শীতঘুম কাটিয়ে ভোট ময়দানে!!
No comments