হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ১২সদস্যের সিট গঠন করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের নেতৃত্ব দেবেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার শ্রদ্ধ…
হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ১২সদস্যের সিট গঠন করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের নেতৃত্ব দেবেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে। এএসপি ছাড়াও ১২জনের ওই টিমে রয়েছেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক, তিন জন ইন্সপেক্টর এবং সাত জন সাব ইন্সপেক্টর। তদন্তকারী দলে ভবানীপুর, দুর্গাচক, মহিষাদল ও হলদিয়া মহিলা থানার ওসিরা রয়েছেন। এই টিমের নেতৃত্বে পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র প্রামানিক, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও পুরসভার টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান সত্যব্রত দাস, অর্থ দপ্তরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বিকাশ জানাকে ভবানীপুর থানায় ডেকে দিনভর জেরা করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ভবানীপুর থানায় পৌঁছন পুরসভার প্রাক্তন তিন কর্তা। এঁদের মধ্যে সত্যব্রত দাস ২০২১সালে ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। পুলিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬জন কাউন্সিলারকে ১৬০সিআরপিসি ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন হাজিরা দিয়েছেন। শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী তাঁর সংস্থার নথিপত্র ব্যবহার করে ওই পুরসভা এবং জেলা পরিষদের টেন্ডার নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। এদিন বিকেলে তদন্তকারী টিম ভবানীপুর থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযোগকারীকে। পুলিস হলদিয়া পুরসভায় তদন্তে নেমে টেন্ডারে জালিয়াতি করে একাধিক বড় খাল খননে দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে। পাতিখলি খাল ও গ্রীনবেল্ট ক্যানেল খননে বড়সড় দুর্নীতির হদিশ পেয়েছে তদন্তকারী দল। খাল খননের পর মাটি তোলার কাজে প্রাথমিকভাবে ২কোটি টাকার একটি দুর্নীতি নজরে এসেছে পুলিসের।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপার বলেন, তদন্তকারী দল এবার বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেবে। পিডব্লুডির ইঞ্জিনিয়ার, ট্রেজারির আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হবে। আপাতত থানার মালখানায় বাজেয়াপ্ত ফাইলগুলি রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে সেগুলি দেখা হবে। এদিন বিকেলে তদন্তের কাজ দেখতে ভবানীপুর থানায় আসেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৬জন প্রাক্তন কাউন্সিলারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তথ্য জানতে এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেড় হাজারের মতো ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে প্রচুর বেনিয়ম ও দুর্নীতির আভাস মিলেছে। ফাইলগুলি খোলা হলে আরও অনেক তথ্য পাবে পুলিস।
No comments